WigMarketing

ব্লগ/আর্টিকেল On Page SEO করার কৌশল

blog post on page optimization strategy

    কিভাবে আর্টিকেল অন পেজ এসইও করবেন

    ব্লগ পোস্ট অথবা আর্টিকেলের মধ্যে On Page SEO নিয়ে আমরা সবাই অনেক বেশি কনফিউশনে থাকি। আমি যেভাবে On Page Optimization করে ব্লগ পোস্ট কে ফার্স্ট পজিশনে র‍্যাংকিং এ নিয়ে আসি। নিচেরে এই স্টেপ গুলো ফলো করে অনপেজ এসইও করলে যেকোনো ধরনের কীওয়ার্ড Google রেংকিং এর প্রথম দিকে চলে আসবে।

    1. কীওয়ার্ডস সিলেকশন
    2. টাইটেল অপটিমাইজেশন
    3. প্যারাগ্রাফ অপটিমাইজেশন
    4. হেডিং অপটিমাইজেশন
    5. ইমেজ অপটিমাইজেশন
    6. ইন্টার্নাল লিংকিং
    7. পার্মালিঙ্কের মধ্যে কিওয়ার্ড সেটআপ
    8. কনটেন্ট কোয়ালিটি

    কীওয়ার্ডস সিলেকশন [keywords selection]

    কীওয়ার্ডস সিলেকশনের সময় লোকেশন বেজড কিওয়ার্ড সিলেক্ট করলে রেঙ্ক করাতে সহজ হবে।  দুই ধরনের কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে একটি প্রাইমারি কীওয়ার্ড অপরটি সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড।

    প্রাইমারি  কিওয়ার্ড অবশ্যই একটি হবে আর সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড চারটি অথবা পাঁচটি হতে পারে ছোট ব্লগপোস্টের ক্ষেত্রে তিন/চারটি  সেকেন্ডারি কীওয়ার্ডও হলেও সমস্যা নাই। প্রাইমারি কিওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারি কিওয়ার্ডের মধ্যে ডাইরেক্ট রিলেশন থাকতে হবে যাতে একটি কিওয়ার্ড অপর কিওয়ার্ড কে রিপ্রেজেন্ট করে।

    কীওয়ার্ডস সিলেকশনের সময় এই টিপস গুলো মেনে চলুনঃ

    – সব সময় চেষ্টা করবেন লো-ডিফিকাল্টি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করার যাতে র্যাংক করানো সহজ হয়।

    -লং-টেইল কিওয়ার্ড হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট চয়েজ- কারণ লং টেইল কীওয়ার্ড খুব কম সময়ের মধ্যে সার্চ রেজাল্ট প্রথম দিকে নিয়ে আসা সম্ভব।

    -সব সময় চেষ্টা করবেন লোকেশন বেজড  কিওয়ার্ড অর্থাৎ লোকাল এসইও রিলেটেড কিওয়ার্ড সিলেক্ট করার জন্য।

    -কিওয়ার্ড ডেনসিটি গাইডলাইন অনুসরণ না করা, কারণ এই ধরনের কোন রেংকিং ফ্যাক্টর গুগল অথবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে নেই। তবে হ্যাঁ ন্যাচারালি কিওয়ার্ড ইনপুট করতে পারেন এটি গুগোল অনেক ভালো চোখে দেখে।

    টাইটেল অপটিমাইজেশন [title optimization]

    On Page SEO এর ক্ষেত্রে টাইটেল অপটিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেপ। টাইটেলটি এমন হতে হবে সেটি যেন পুরো ব্লগ পোস্ট কে রিপ্রেজেন্ট করে। টাইটেলের মধ্যে অবশ্যই মেইন কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করবেন, টাইটেল টি ছোট হতে হবে যাতে গুগল বা অন্যান্য সার্চ রেজাল্ট সম্পূর্ণ টাইটেল দেখা যাই। আপনার আর্টিকেলের টাইটেল টি অবশ্যই ইউনিক হতে হবে – যাতে টাইটেল ধরে সার্চ দিলে, সার্চ রেজাল্টে আপনার ওয়েবসাইটটি সবার প্রথমে দেখায়।

    এজন্যই বলছি, এমন টাইটেল সিলেক্ট করতে হবে যেটি আপনার আর্টিকেলকেও রিপ্রেজেন্ট করে, টাইটেলটিও ইউনিক হয়, আবার টাইটেলের মধ্যে  কিওয়ার্ডও রাখা যায়।

    প্যারাগ্রাফ অপটিমাইজেশন [paragraph optimization]

    প্রথম প্যারাগ্রাফ ভালোভাবে অপটিমাইজ করতে হবে চেষ্টা করতে হবে মেইন কি ওয়ার্ড এখানে ইনক্লুড করার। সবগুলো প্যারাগ্রাফ এই যদি সম্ভব হয় ন্যাচারালি প্রাইমারি কিওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারী কিওয়ার্ড ইনক্লুড করতে হবে।

    তবে মনে রাখতে হবে প্যারাগ্রাফ অপটিমাইজেশনের সময় কিওয়ার্ড ডেনসিটি গাইডলাইন ফলো করা যাবেনা কারণ কিওয়ার্ড ডেনসিটি গাইডলাইন বলে গুগোল এ কোন ইনস্ট্রাকশন দেওয়া নেই

    এটি বিভিন্ন এসইও কোম্পানি ও এক্সপার্টদের একটি গাইডলাইন। গুগলের শুধু বলা আছে, যেকোনো কিওয়ার্ড ন্যাচারালি প্যারাগ্রাফ অথবা হেডিং এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। গুগোল রেংকিং কে ইনফ্লুয়েন্স করার জন্য কোন  কিওয়ার্ড কে আর্টিকেলের মধ্যে বারংবার ব্যবহার করা যাবে না, এ ধরনের কাজ করলে গুগল পেনাল্টি খেতে পারেন।

    হেডিং অপটিমাইজেশন heading optimization]

    H2, H3 , H4 হেডিং গুলো সিরিয়ালি ইনক্লুড করতে হবে যেমন H2 হেডিং এর আন্ডারে H3 হেডিং ইনক্লুড করতে হবে, আবার H3  হেডিং এর আন্ডারে H4 হেডিং ইনক্লুড করতে হবে।

    H2 হেডিং টা আর্টিকেল রেংকিং এর ক্ষেত্রে  অনেক বড় ভূমিকা রাখে সেজন্য h2 হেডিং এর মধ্যে প্রাইমারি কীওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় আপনার আর্টিকেলের h1 টাইটেল টি র‍্যাংক করার সাথে সাথে H2 টাইটেল টিও র‍্যাংক করেছে। 

    এর মানে হলো h2 টাইটেল ধরে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিলে আপনার ওয়েবসাইটটি প্রথমদিকে দেখাতে পারে এইজন্য  র্যাঙ্কিংয়ের জন্য h2 টাইটেল এর গুরুত্বও কম নয়। এই জন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করব h2, h3 এবং H4 হেডিং এ মেইন কিওয়ার্ড এবং সেকেনন্ডারি কিওয়ার্ডগুলো অন্তর্ভুক্ত করার।

    ইমেজ অপটিমাইজেশন [image optimization]

    আর্টিকেলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট ইমেজ। ইমেজ অপটিমাইজেশনর জন্য যে কয়েকটি বিষয়ে আমাদের বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত-

    • ইমেজ সাইজ
    • ইমেজ রেজুলেশন
    • এবং ইমেজ ফাইল নেম রিনেম

    ব্লগ পোষ্টের জন্য ইমেজ সাইজ সাধারণত  50 কিলোবাইট থেকে 80 কিলোবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। যে ফাইল থেকে ইমেজটি নিবেন সে ফাইল নেম টি রিনেম (rename) করে নিতে হবে আর্টিকেলের মেইন কিওয়ার্ড দ্বারা।

    ব্লগ পোস্টের ইমেজ সাইজ বুঝার জন্য এই পিকচারটা খেয়াল করুনঃ

    ব্লগ পোস্টের মধ্য ইমেজ সাইজ কেমন হবে সেটার উদাহরন

    ইন্টার্নাল লিংকিং [internal linking]

    ওয়েবসাইটের রিলেটেড আর্টিগুলোর মধ্যে সংযোগ তৈরি করা। অবশ্যই আর্টিকেল গুলোর মধ্যে অন্য রিলেটেড আর্টিকেলগুলোর লিংক অ্যাড করে দিবেন যাতে ভিজিটররা আপনার অন্য আর্টিকেল গুলোও ভালোভাবে পড়তে পারে।

    গুগোল রেংকিং এর ক্ষেত্রে ইন্টারনাল লিংকিং এসইওর অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর। সঠিকভাবে  ইন্টারনাল লিংকিং করা থাকলে দ্রুত রেংকিং এ আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

    তবে মনে রাখতে হবে ইন্টার্নাল লিংকিং শুধুমাত্র প্রাসঙ্গিক ব্লগ পোষ্টের সাথেই করতে হবে এবং সঠিক অ্যাংকর টেক্সট ব্যবহার করতে হবে। কিভাবে ইন্টার্নাল লিংকিং করবেন এটা নিয়ে গুগোলে একটি গাইডলাইন দেওয়া আছে আপনার ইচ্ছা করলে এটি পড়ে নিতে পারেন।

    পার্মালিঙ্কের মধ্যে কিওয়ার্ড সেটআপ [permalink set up] 

    আর্টিকেলের মেইন কিওয়ার্ড টি অবশ্যই পার্মালিনঙ্কের মধ্যে রাখবেন। কারন কিওয়ার্ড ফ্রেন্ডলি পার্মালিঙ্ক আর্টিকেল রেংকিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অবশ্যই খেয়াল করবেন পার্মালিঙ্কটি যেন খুব বেশি বড় না হয়। সার্চ কনসোলে আর্টিকেলটি একবার ইনডেক্স হয়ে গেলে পারমালিংক টি চেঞ্জ করা যাবে না।

    এবার আসুন সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রিকস যা  গুগোল র্যাংকিংয়ে অনেক বড় ভূমিকা রাখে সেটি হলো নিয়মিত ব্লগ পোস্ট আপডেট করা।

    যে কোন নতুন তথ্য অ্যাড অথবা রিমুভ করা, অপ্রাসঙ্গিক কোন তথ্য ডিলিট করা, গুরুত্বপূর্ণ কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া, যেমন গবেষণামূলক কোন তথ্য নতুন করে অ্যাড করা অথবা আগের তথ্যটি পরিবর্তন হলে সেখানে বলে দেওয়া বা নতুন কোন রেফারেন্স এড করা এগুলোই হল মূলত কনটেন্ট আপডেটের অংশ। গুগোল সব সময় আপডেটেড কনটেন্ট পছন্দ করে যা রেংকিং এর জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে।

    কনটেন্ট কোয়ালিটি [content quality]

    যে কোন ব্লগ পোস্ট রেংক করার জন্য কনটেন্ট কোয়ালিটি সব থেকে বড় একটি ফ্যাক্টর। অনেক আর্টিকেল আছে এসইওর মেজরিটি ফ্যাক্টর মেইনটেইন করে না, তারপরেও শুধুমাত্র কনটেন্ট কোয়ালিটির জন্য তাদের আর্টিকেলগুলো প্রথম পেজে র‍্যাংক করে আছে। কনটেন্ট কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে পারলে শর্ট টাইমের মধ্যে রেংকিং পজিশনে আসা যায় এবং লং-টাইম পর্যন্ত র্যাংকিং পজিশন ধরে রাখা যায়।

    কনটেন্ট কোয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য কিছু টিপস আপনাদেরকে শেয়ার করিঃ

    – কীওয়ার্ড রিলেটেড কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করতে হবে, কনটেন্ট এর মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক বাক্য পরিহার করতে হবে কারণ ভিজিটররা সব সময় প্রাসঙ্গিক তথ্য খোঁজার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।

    –  গবেষণামূলক তথ্য এবং রেফারেন্স লিংক অ্যাড করতে হবে, যাতে ভিজিটররা দ্বিধাহীন ভাবে তথ্যগুলো বিশ্বাস করতে পারে। ইমেজ ব্যবহার করতে হবে যাতে ভিজিটররা আর্টিকেল পড়তে পড়তে একঘেয়েমিতে না হয়।

    – ইমেজ এরমধ্যে ইনস্ট্রাকশনাল তথ্য ব্যবহার করতে হবে যাতে শুধু ইমেজ দেখেই আর্টিকেলের মেইন কনসেপ্ট ক্লিয়ার করা যায়।

    – গুগলের কনটেন্ট কোয়ালিটি গাইডলাইন মেইনটেইন করতে হবে যেমন কপি কনটেন্ট ব্যবহার না করা, ডাটা স্ক্রাপ না করা, আর্টিকেল স্পিনিং টুলস অথবা অটোমেটেড আর্টিকেল রাইটিং টুলস ব্যবহার না করা, ভিজিটরকে অন্য পেজে রিডাইরেক্ট করতে জোড় না করা, ভুল ইনফরমেশন না দেওয়া এবং অন্যান্য এসইও গাইড লাইন মেনে চলা।

    নোটঃ কখনোই কোন আর্টিকেল অভার-অপটিমাইজ করবেন না কারণ গুগল যদি কোন ভাবে বুঝতে পারে সার্চ ইঞ্জিনকে ইনফ্লুয়েন্স করে আর্টিকেল র্যাংকিং এর চেষ্টা করছে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল পেনাল্টি খেতে পারে।

    সবশেষেঃ এসইওর এই পার্টটুকু আপাতত কমপ্লিট করলে মনে করা হয় আপনার আর্টিকেলটি অবশ্যই অবশ্যই র‍্যাংক করবে। এর বাইরেও কিছু এডভান্স লেভেলের ট্রিক্স রয়েছে কিন্তু সেগুলো নয় অন্য এক লেসনে অ্যাডভান্স লেভেলের এসইও স্ট্রাটেজি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।

    ব্লগ পোস্ট অথবা আর্টিকেলের মধ্যে অন পেজ এসইও নিয়ে এর বাইরেও যদি কিছু জানার থাকে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট জানাবেন WigMarketing টিম চেষ্টা করবে আপনাদেরকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে হেল্প করার।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *