WigMarketing

ফ্রিল্যান্সিং কি ? কেনো এবং কিভাবে করতে হয় ?

freelancing ki keno kivabe

ফ্রিল্যান্সিং কী বা কাকে বলে ?

ফ্রিল্যান্সিং হলো দক্ষতা ভিত্তিক আত্মকর্মসংস্থান, যেটিকে মূলত চুক্তি ভিত্তিক পেশাও বলা হয়।

তাই বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি মুক্ত পেশা যার দ্বারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা যায়।

কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন কোন কোম্পানিতে পার্মানেন্ট চাকরি না করে চুক্তিভিত্তিক বা প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ করে তখন তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।

কেনো ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত?

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা , যেখানে নিজে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, ইচ্ছামতো সময় দেওয়া যায় এবং অর্থ উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং সবাই করতে পারবে না কারন সবার কাছে দক্ষতা নেই, সবাই স্বাধীন পেশা ভালবাসে না, সবাই নিজস্ব বিজনেস গড়ে তুলতে পারে না।

#‌ ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে বাড়তি অর্থ উপার্জনের সাহায্য করবে, আপনার যদি কোন দক্ষতা থাকে তাহলে সে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

# ফ্রিল্যান্সিং হলো আত্মকর্মসংস্থানের সবথেকে উপযুক্ত একটি মাধ্যম যেখানে অল্প পুঁজিতেই কাজ শুরু করে বড় কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব।

# ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুব স্বচ্ছতার সাথে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেয়া যায় এবং নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সেখান থেকে লাইফ-লং উপার্জনের ব্যবস্থা করা যায়।

# ফ্রিল্যান্সিং করতে উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন নেই এই জন্য এখানে জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কেউ চাইলে সামান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে, শুধু নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে অনেক বড় কিছু করতে পারে।

# ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের কাজে দক্ষ হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক বেশি টাকা উপার্জন করা সম্ভব যেটা অন্য কোন সেক্টরের সম্ভব না।

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মধ্য পার্থক্য কি? [ Freelancing vs Outsourcing ]

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং প্রায় একই অর্থে ব্যবহার করা হয় তবে অর্থগত দিক থেকে এদের মধ্যে বেসিক কিছু পার্থক্য রয়েছে যেমন ফ্রিল্যান্সিং অর্থ স্বাধীনভাবে কাজ করা, আর আউটসোর্সিং অর্থ নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে থেকে সোর্স কালেক্ট করা।

মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠান পাওয়া যাবে যারা কোম্পানির অর্ধেক কাজ পার্মানেন্ট এমপ্লয়ির পরিবর্তে ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে থাকে,অর্থাৎ কোম্পানির বাইরে থেকে ইমপ্লয়ী সোর্স কালেক্ট করে। অর্থাৎ বাইরে থেকে যেকোনো উৎস খুজে বের করাই হলো আউটসোর্সিং, সেটা হতে পারে কোনো ফ্রিল্যান্সারের ক্ষত্রে অথবা কোনো বায়ারের ক্ষেত্রে।

আউটসোর্সিং শব্দটি বায়ার এবং সেলার উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন আউটসোর্সিং শব্দটি যখন কোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে তখন ওই কোম্পানির বাইরে কোন কর্মচারী পার্ট টাইম বা কন্ট্রাকচুয়াল Hire করে কাজ করানো হয়, তখন সেই কোম্পানির ক্ষেত্রে সেটি আউটসোর্সিং বলে এবং যারা কাজ করবে তাদেরকে আউটসোর্সিং ইম্পলয়ই অথবা ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।

আউটসোর্সিং বিভিন্ন রকম হতে পারে যেমন আউটসোর্সিং এমপ্লয়ি হতে পারে, আবার আউটসোর্সিং ফ্রীল্যান্সার হতে পারে, এক কথায় যারা নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম বাদে বাইরে থেকে সোর্স কালেক্ট করে তাদেরকেই আউটসোর্স এক্সপার্ট বলা হয়,  সে ব্যক্তি হতে পারে কোন বিক্রেতা অথবা ক্রেতা অথবা প্রতিষ্ঠান।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা [ Future of Freelancing ]

একটি গবেষণায় দেখা যায়  “ ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়ায় প্রায় ৬ মিলিয়ন দক্ষ জনবলের অভাব দেখা দিবে, আমেরিকাও প্রায় ৬ মিলিয়ন দক্ষ জনবলের অভাব দেখতে পাবে , জাপান, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিলেও ১৮ মিলিয়ন দক্ষ জনবলের অভাব দেখা যেতে পারে, যেটা সারা বিশ্ব মিলে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে”

তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ে কখনো কাজের অভাব হয়নি এবং হবেও না, আপনি নিজে দক্ষ থাকলে কাজ আপনাকে খুঁজে নেবে এবং কোম্পানির ব্যয় সাশ্রয় হয়।

বর্তমানে যেমন দক্ষ জনবলের অভাব ফ্রিল্যান্সাররা অনেকটাই পূরণ করছে তেমনি ভবিষ্যতেও এই অভাব ফ্রিল্যান্সিং পেশার মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব।

এক কথায় ফ্রিল্যান্সিং পেশা একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত যার সঙ্গে অন্য কোন পেশার তুলনা কখনো হয়নি হবেও না।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্তমানে Remote Working Visa Programs চালু করছে যেমন মালয়েশিয়ায় স্পেন, ইন্দোনেশিয়া এবং ইতালি রিমোট ভিসা চালু করেছে, এই ভিসা প্রগ্রামিং এর আওতাই মাধ্যমে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের তাদের দেশে বসবাসের অনুমতি দিচ্ছে, এর অর্থ এই পেশার মাধ্যমে আপনি যেকোন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।

ভবিষ্যৎ ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা গুলো কি কি? [ freelancing skills list bangla ]

শুধু দক্ষতা অর্জন করলেই হবে না দক্ষতা গুলোর ভবিষ্যৎ আছে কিনা সেটিরও সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। যাতে সঠিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

এমন যেন না হয় যে কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলেন সেটি চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এজন্যই ভবিষ্যতে মার্কেটপ্লেসের সব থেকে ডিমান্ড ফুল কিছু কাজের লিস্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

  • ইন্টারনেট সিকিউরিটি দক্ষতার

অনলাইন সিকিউরিটি বা ইথিক্যাল হ্যাকিং যাই বলেন না কেন, বর্তমানে অনলাইন সিকিউরিটি অনেক বড় একটি ইস্যু, প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য থেকে শুরু করে ব্যাক্তি নির্ভর তথ্য সবকিছুই অনলাইনে অযাচিতভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। প্রতিটা দিনই আমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছে অনলাইন সিকিউরিটির অভাব! ভবিষ্যতে অনলাইন সিকিউরিটি এক্সপার্টদের ডিমান্ড হবে সব থেকে বেশি।

  • এ্যাপস ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডেভলপার, অ্যাপস ডেভলপার এবং বিভিন্ন কোডিং এক্সপার্টদের চাহিদা যেমন বর্তমানে আছে তেমনি ভবিষ্যতেও থাকবে। এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন একটু কঠিন হলেও মার্কেটপ্লেস এ সঠিক যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারলে এদের কাজের অভাব নেই।

  • ব্লকচেইন ডেভেলপমেন্ট

ব্লকচেইন, ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিটকয়েন অথবা ভার্চুয়াল টাকা এসব বিষয়ে এক্সপার্টদের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল কারণ মার্কেট প্লেসে এদের ডিমান্ড দিন দিন বেড়েই চলছে।

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্ব অতীতেও ছিল তেমনি ভবিষ্যতেও থাকবে। যে যত বেশি নতুনত্ব এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন নিয়ে আসতে পারবে তার গুরুত্ব তত বেশি থাকবে। ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক জনপ্রিয় একটা পেশা।

  • ভিডিও ইডিটিং

বর্তমানে দক্ষ ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইন মানুষের বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে যে কারণে ভিডিও এডিটিং এর মত দক্ষতা থাকলে অর্থ উপার্জনের ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।

  • ডিজিটাল মার্কেটিং

অনলাইনে মার্কেটিং কাজ দক্ষ ভাবে করতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্টদের সাহায্য অবশ্যই নিতে হবে। বর্তমান আধুনিক যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্টদের কে বলা হয় কোম্পানির প্রাণ যাদের ছাড়া কোম্পানির পণ্যের প্রচার-প্রসার এবং বিক্রয় কখনোই সম্ভব না। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের ভবিষ্যৎ সম্ভবনা অনেক ভালো।

  • ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট

বর্তমানে প্রত্যেকেরই নিজস্ব অনলাইন প্লাটফর্ম আছে, বিশেষ করে যারা একটু সমাজে পরিচিত মুখ অথবা সেলিব্রেটি টাইপের তাদের দ্বারা প্রত্যেকটা সোশ্যাল মিডিয়া অনলাইন সেক্টর হ্যান্ডেল করা সম্ভব নয়। তাই তাদের প্রয়োজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক ব্যবহার এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জবের পরিমাণ অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে যার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অনেক ভালো।

  • গেম ডেভেলপমেন্ট

বর্তমানে গেম ডেভেলপারদের চাহিদা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ভার্চুয়াল বিনোদন থেকে শুরু করে পেশাদার গেমার এর পরিমাণও অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে ভালো গেম ডেভলপার হতে পারলে অনেক মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

  • লেখালেখি

আধুনিক যুগে সঠিক তথ্য পাওয়া অনেক কঠিন, এজন্য যারা গবেষণা করে সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমাদের সামনে তুলে ধরেন, তাদের গুরুত্ব সবার কাছেই অনেক বেশি। ভালো লেখালেখির কাজ করে বড় বড় জায়ান্ট কোম্পানিতে কাজের সুযোগ পাওয়া সম্ভব, এমনকি পার্ট টাইম কাজ করেও ইনকাম করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা সম্ভব [ freelancing income in bangla ]

ফ্রিল্যান্সিং আর চাকরি একই কথা না, এজন্য কখনো একুরেটলি বলা সম্ভব না ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি কত টাকা ইনকাম করবেন।

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যাচাই-বাছাই করে আপনাকে একটা আইডিয়া দেওয়া যেতে পারে যে আপনি এত টাকা উপার্জন করতে পারেন।

তবে ফ্রিল্যান্সাররা যখন দক্ষ হয়, অভিজ্ঞ হয় তখুন তাদের উপার্জনের পরিমাণও বাড়তে থাকে।

বিশ্ব বিখ্যাত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটিং সাইট Upwork এর তথ্য মতে 

  • কনটেন্ট রাইটারঃ এভারেজলি একজন কন্টেন্ট রাইটার বছরে ৪২ হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে।
  • প্রোগ্রামারঃ এভারেজলি একজন প্রোগ্রামার বছরে ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে।
  • ওয়েব ডেভেলপারঃ এভারেজলি একজন ওয়েব ডেভলপার বছরে প্রায় ৯০ হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনারঃ এভারেজলি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বছরে ৯০ হাজার ডলার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিংঃ এভারেজে একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট বছরে প্রায় ১ লক্ষ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে।
  • ডাটা এনালিস্টঃ এভারেজলি একজন ডাটা এনালিস্ট বছরে প্রায় ১ লক্ষ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।

ভালো ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে কি করা উচিত?

পরিশ্রম! পরিশ্রম! পরিশ্রম!

যে কোন অসম্ভব কাজের মধ্যে সম্ভাব্যতা জাগিয়ে তোলে একজন পরিশ্রমী ব্যাক্তি।

ফ্রিল্যান্সিং এ যে বিষয়টি সব থেকে বেশি জরুরী সেটি হল ধারাবাহিকভাবে পরিশ্রম, প্রতিদিনের কাজের মধ্যে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এবং আন্তরিকতার সাথে কাজগুলো শেখা। প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা নিজের দক্ষতাকে আরো এক ধাপ উপরে নিয়ে যাওয়া।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রতিটা কাজেরই যথেষ্ট মূল্য রয়েছে, এজন্য সবার আগে যেকোনো একটা বিষয়ে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে দক্ষ করে তুলুন এবং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে এ বিষয়ে পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। তারপরে আপনি যদি চান যে অন্য কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের সময় আছে তাহলে সে বিষয়গুলো আপনি ভেবে দেখতে পারেন।

নিজের যোগাযোগ দক্ষতাকে বৃদ্ধি করা বিভিন্ন গ্রুপিং, সেমিনার, মিটিং যোগ দেওয়া তাদের সাথে সম্পর্ক ইমপ্রুভ করা।

ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো ক্যারিয়ার করার জন্য অবশ্যই নিজের যোগাযোগ দক্ষতা কাজে লাগাতে হবে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে একলা চলো নীতিতে কখনোই বড় কিছু করা সম্ভব না, এজন্য নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়ে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে হলে অবশ্যই আন্তরিক হতে হবে, ক্লায়েন্টের কাজের প্রতি আন্তরিক হতে হবে, নতুন কাজ শেখার প্রতি আন্তরিক হতে হবে, অর্ডার যত ছোটই হোক না কেন সেটা পারফেক্টলি শেষ করতে হবে, প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেটেড রাখতে হবে, পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করে নিজস্ব ভাবমূর্তি তৈরি করতে হবে যাতে মার্কেটপ্লেস এর বাইরেও আপনার নিজস্ব একটা পরিচয় থাকে সেখান থেকে আপনি যেকোনো অর্ডার পেতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার অসুবিধা

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক অসুবিধা রয়েছে-ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে অবশ্যই এই ধরনের অসুবিধা গুলো জেনে নিবেন তাহলে নিজেকে আরো ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনি কোন ধরনের অসুবিধায় পড়তে পারেন আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছিঃ

★ভালো ইন্টারনেট কানেকশন এর অভাব★

দুর্বল ইন্টারনেট কানেকশন অনলাইন কাজকে দীর্ঘায়িত করে এবং ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতি অনাগ্রহ তৈরি করে দেয়। কোন অনলাইন কাজের জন্য যেখানে ৫ মিনিট সময় লাগার কথা,দুর্বল নেট কানেকশনের জন্য আপনার লাগবে ১০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিট, গড় হিসাব করলে দিনে প্রায় দুই/তিন ঘন্টা চলে যায় শুধুমাত্র দুর্বল নেট কানেকশনের জন্য।

★ভালো ট্রেনিং কোর্সের অভাব★

বাংলাদেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার থাকলেও এখন পর্যন্ত এমন কোন ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠতে পারিনি যেটা আপনাকে বিগেইনার লেভেল থেকে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে দক্ষ করে তুলবে। সবাই শুধু চিন্তা করে অর্থ উপার্জন করার, ভালো ট্রেনিং বা কোর্স বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করার চিন্তা খুব কম মানুষই করে।

★সামাজিক স্বীকৃতির অভাব★

আমাদের সমাজ এখন পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, আমাদের দেশও ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে উপযুক্ত সম্মান দিতে চায়না। পারিবারিক ও সামাজিক স্বীকৃতির অভাবে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের কাজে অনুৎসাহিত হয়ে পড়েন। এজন্য বাংলাদেশে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা আছে যারা কিছুদিন কাজ করে কিন্তু পরে এটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে চায় না।

★দক্ষ ইন্সট্রাক্টর ও গাইডলাইনের অভাব★

ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে এমন অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় যেগুলো সমাধানের জন্য ভালো ইনস্ট্রাকশন এর প্রয়োজন হয়, কিন্তু আমাদের দেশে এই ধরনের দক্ষতা সম্পন্ন মানুষের খুবই অভাব। এছাড়াও ভালো গাইডলাইনের অভাবে অনেকেই অনলাইন সেক্টর এর বিভিন্ন ক্রাইম এবং স্ক্যামিং এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে নিজের ক্যারিয়ার বিপন্ন করে তোলে।

কেনো ফ্রিল্যান্সিং করবেন না?

শুধুমাত্র টাকার লোভে কখনোই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন না, কারন আপনার দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করে কখনোই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না।

আপনি যদি দেখেন আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক কম, ইংরেজিতে দক্ষতাও অনেক কম অথবা এরকম অনেক বিষয় আছে যেগুলোতে আপনি একদমই অদক্ষ তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য না।

অন্যের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে, শুধু টাকা ইনকামের স্ক্রিনশট দেখে, কোন কিছু না ভেবে আদা-জল খেয়ে কোখুনোই ফ্রিল্যান্সিংয়ে নেমে পড়বেন না, নিজেকে সময় দিন সেই বিষয়ে রিসার্চ করুন, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাব্যতা যাচাই করে তারপরেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন।

ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতিটা স্বপ্ন অনেক বড় এবং সাহসের, এখানে শুধু প্রয়োজন পূরণের জন্য আসবেন না, নিজের ভালোলাগা টাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের কাজটাকে ভালোবেসে এগিয়ে চলুন ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ সব থেকে জনপ্রিয় দক্ষতা গুলো কি কি ?

ফ্রিল্যান্সিং এ এমন কিছু কাজ আছে যার জনপ্রিয়তা অতীতেও ছিল এমনকি ভবিষ্যতে তা থাকবে। 

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং
  2. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  3. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  4. কনটেন্ট রাইটিং 
  5. গ্রাফিক্স ডিজাইন
  6. ভিডিও এডিটিং

উপরের এই প্রত্যেকটি স্কিলস ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে তুমুল জনপ্রিয়। বেশিরভাগ মানুষই উপরের এই টপিকগুলোর মধ্য থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে। 

উপরের এই টপিকগুলো ছাড়াও আপনি যে কোন একটি বিষয়ে কাজ শুরু করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। উপরের সবগুলো স্কিলের ভালো-মন্দ উভয় দিক রয়েছে। তাই যে কোন বিষয়ে কাজ শুরু করার আগে সে বিষয়ে আগে ভালো-মন্দ যাচাই করে নিবেন তারপরে সেই বিষয় নিয়ে দক্ষতা অর্জন করবেন নইলে পরবর্তীতে মার্কেটপ্লেসে এসে ডিপ্রেশনে ভুগতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগবে?

প্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যা যা প্রয়োজন তার লিস্ট নিন্মে দেয়া হলোঃ-

  • ভালো ইন্টারনেট সংযোগ

ফ্রিল্যান্সিং করার প্রধান উপাদান হল ইন্টারনেট। ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।

  • কম্পিউটার

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ কম্পিউটার থাকা জরুরী, মোবাইল অথবা ট্যাবলেট দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যথেষ্ট না। প্রথমদিকে মধ্যম লেভেলে যে কোন একটি কম্পিউটার দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যাবে।

  • যেকোনো বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তোলা

ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন একটি স্পেসিফিক বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে- সে বিষয়ে বিগেইনার টু অ্যাডভান্স লেভেল পর্যন্ত সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখতে হবে।

  • বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে কাজ শুরু করা

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে এবং সেখানে কাজ শুরু করে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি দক্ষতা দরকার ?

দক্ষতাই হলো ফ্রিল্যান্সিং এর মূল শক্তি। ফ্রিল্যান্সিং এ যে ব্যক্তি যতটা বেশি দক্ষ সে ততটা সফল হতে পারবে।

আজকে আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে কি কি দক্ষতার প্রয়োজন হয়।

  1. ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়া

ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় গুরুত্ব অনেক বেশি। ইংরেজিতে Speaking, Reading, Writing এই তিন ফরমেটেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।

  1. যোগাযোগ দক্ষতা

যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন, নিজস্ব সার্কেল তৈরি, গ্রুপ তৈরি, ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, বিভিন্ন মিটিং সেমিনার পরিচালনা করা এবং নিজের কথার মাধ্যমে অন্যকে আকর্ষণ করার ক্যাপিলিটি অর্জন করা। ফ্রিল্যান্সিং এ যোগাযোগ দক্ষতা কে অনেক বড় একটি গুণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

  1. কম্পিউটার বেসিক দক্ষতা

কম্পিউটারে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা জরুরি যেমন মাইক্রোসফট অফিস/এক্সেল এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং, বেসিক ফটোশপ সহ অন্যান্য কিছু ধারণা থাকতে হবে।

  1. ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোনো বিষয়ে দক্ষ হওয়া

ফ্রিল্যান্সিং এ ছোট্ট একটি দক্ষতার অনেক বড় মূল্য পাওয়া সম্ভব এই জন্য এ ক্ষেত্রে শুধু দক্ষতা অর্জন করলেই হবে না, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ও কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে যাতে নিজেকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং অভিজ্ঞ করে তুলতে পারেন।

যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য নিম্নের স্টেপ গুলো ফলো করুনঃ-

  • ভালো ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটি কম্পিউটারের ব্যবস্থা করুন
  • যেকোনো একটা বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে নিন
  • অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য ইন্টারশিপ অথবা মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করুন
  • কাজের পোর্টফোলিয় তৈরি করুন
  • নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করুন

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য অবশ্যই ভালো ইন্টারনেট সংযোগ সেই সাথে ভালো একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে। বর্তমানে অনেকেই মোবাইল অথবা ট্যাবলেট দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে, তবে কম্পিউটার দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারলে আরো ভালো হয়।

প্রথমেই নিজের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে যে কোন একটি টপিক সিলেক্ট করুন যাতে সে বিষয়ে আপনি দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, সেটা হতে পারে ওয়েব ডেভেলপিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি যেই টপিকই সিলেক্ট করুন না কেন নিজের ভালোলাগাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিবেন, যাতে আনন্দের সাথে পরিশ্রম করে সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

এ বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়ার জন্য ইউটিউব থেকে অথবা বিভিন্ন প্রিমিয়াম কোর্সে ভর্তি হলে ভালো গাইডলাইন পেতে পারেন।

বিগেইনার লেভেলে যেকোনো প্রিমিয়াম কোর্সে ভর্তি হয়ে গেলে, মার্কেটপ্লেস বুঝতে এবং অর্ডার পেতে কম সময় লাগবে। ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করার পরে মার্কেটপ্লেস কাজ শুরু করতে হবে, যাতে আপনি দক্ষতা গুলো প্রমাণ করতে পারেন। প্রথম দিকে যদি মার্কেটপ্লেসে কোন কাজ না পান তাহলে ইন্টার্নশিপ শুরু করেন যা আপনার দক্ষতাকে ঝালাই করে নিতে অনেক বেশি হেল্প করবে।

এরপরে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া শুরু করলে সে কাজগুলোর প্রমান সংরক্ষণ করুন এবং পোর্টফোলিও তৈরি করুন, যাতে মার্কেটপ্লেসের অন্যান্য ক্লায়েন্টরা বুঝতে পারে আপনি এই বিষয়ে দক্ষ।

সচরাচর সব ফ্রিল্যান্সাররাই পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করে মার্কেটপ্লেসের নিজস্ব ভাবমূর্তি তৈরি করে নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্ডার পায়। একজন প্রফেসশনাল ফ্রিল্যান্সারের জন্য নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা খুবই জরুরী কারণ একজন ফ্রিল্যান্সার সারা জীবন মার্কেটপ্লেসে কাজ করবে না, এইজন্য বিভিন্ন কোম্পানি এবং এজেন্সির সাথে পরিচয় হয়ে সেখান থেকে অটোমেটিক্যালি অর্ডার করার ব্যবস্থা করবে।

এজন্য ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিতে হলে মার্কেটপ্লেসে নিজের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে যেমন সার্ভিস রিলেটেড ওয়েবসাইট বানাতে হবে, ইউটিউব চ্যানেল খুলে কোর্স রিলেটেড বিভিন্ন ভিডিও দিতে হবে যাতে সবাই আপনার দক্ষতা সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পারে।

আশা করবো উপরের স্টেপ গুলো ভালোভাবে ফলো করলে আপনি মোটামুটি ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে ভালো করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে।

বাংলাদেশীদের জন্য বেস্ট ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

প্রফেশনালী ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক ধরনের মার্কেটপ্লেস রয়েছে তবে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের কাছে নিম্নের এই মার্কেটপ্লেস গুলো সব থেকে বেশি জনপ্রিয় শুরুর দিকে কোন না কোন ফ্রিল্যান্সার নিম্নের এই মার্কেটপ্লেসে অবশ্যই কাজ করে থাকে।

  • Upwork বর্তমানে আপ-ওয়ার্ক  অনেক জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, শুরুর দিকে প্রফেশনালি কাজ করার জন্য upwork বেস্ট ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।
  • Fiverr শুরুর দিকে বাংলাদেশীদের মধ্যে বিশাল সংখ্যক ফ্রিল্যান্সার ফাইবারে কাজ করে। এই মার্কেটপ্লেস এ অর্ডার পাওয়া এবং টাকা উত্তোলন করার সবগুলো প্রসেস সহজ হওয়ার কারণে এই মার্কেটপ্লেসের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।
  • Freelancer.Com আরো একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো ফ্রিল্যান্সার ডটকম এই মার্কেটপ্লেসের বিভিন্ন কনটেস্টের মাধ্যমে যে কোন অর্ডার জিতে নিতে হয়।
  • People per hour বাংলাদেশে এটি অনেক জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেখান থেকে আপনি সার্ভিস ক্রিয়েট করে বিভিন্ন রকম অর্ডার পেতে পারেন।

সাধারণ কিছু প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা হালাল নাকি হারাম ?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো-মন্দ উভয় দিক রয়েছে, আপনি যদি হালাল উদ্দেশ্যে নিজেকে দক্ষ করে তোলেন তাহলে হালাল ইনকাম করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে নিজের ব্যাংকে নিয়ে আসব ?

উত্তরঃ মার্কেটপ্লেস এ বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে আছে যার মাধ্যমে টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন।

প্রশ্নঃ চাকরি করে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় ?

উত্তরঃ চাকরি করার পরেও আপনি যদি যথেষ্ট সময় ফ্রিল্যান্সিং এ  দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ে একটি বিষয় দক্ষ হতে কত সময় লাগে ?

উত্তরঃ সেটি ডিপেন্ড করছে আপনার সিলেক্টেড টপিকের উপর এবং আপনি কতটা সময় দিচ্ছেন তার উপরে, আপনি যদি SEO এক্সপার্ট হতে চান তাহলে এক বছর মত সময় লাগতে পারে।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এ সবথেকে সহজ টপিক কোনটা ?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং এ সহজ বলে কোন বিষয় নেই, তবে আপনি যে কোন একটি বড় বিষয়কে ছোট ছোট ভাবে ভাগ করে সেই বিষয়ের উপরে এক্সপার্ট হতে পারেন যেমন আপনি সম্পূর্ণ অনলাইন মার্কেটিং এর কাজ না শিখে শুধুমাত্র ইমেইল মার্কেটিং এর কাজটা ভালোভাবে শিখতে পারেন।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সবথেকে ডিমান্ডফুল একটি কাজের নাম বলুন ?

উত্তরঃ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে নিজেকে দক্ষ করে তোলা।

প্রশ্নঃ কারা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে না ?

উত্তরঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা একদমই কম, ধারাবাহিকভাবে পরিশ্রম করতে পারে না, ধৈর্য ধরে চেষ্টা করবে না তাদের দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব না।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় ?

উত্তরঃ যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করেন আনুমানিক প্রতি বছরে ১০/২০ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারেন।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নাকি চাকরি কোনটি সবথেকে বেস্ট হবে ?

উত্তরঃ সন্দেহাতীত ভাবে ফ্রিল্যান্সিং হবে বাংলাদেশীদের জন্য বেস্ট প্লেস।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং করে কি বাইরের দেশে যাওয়া যায় ?

উত্তরঃ যদি ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে অবশ্যই বাইরের দেশে যে কোন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিলে কেমন হয় ?

উত্তরঃ এটা আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত হবে।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং করে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব কিনা ?

উত্তরঃ যে কোন পজিশনে থেকে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব তবে ফ্রিল্যান্সিং করে সম্ভাবনা অনেক বেশি।

প্রশ্নঃ মানুষ কেন ফ্রিল্যান্সিং করা ছেড়ে দেয় ?

উত্তরঃ  ধৈর্য ও পরিশ্রমের অভাব তাকে ব্যর্থ করে দেয়।

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কোন কোশ্চেন থাকলে, কমেন্ট সেকশনে আমাদেরকে জানিয়ে দিবেন, আমরা চেষ্টা করবো আপনাদেরকে গঠনমূলক উত্তর দেওয়ার।

আরো পড়ুন- ইমেইল মার্কেটিং কি কেনো কিভাবে?

আরো পড়ুন- ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজেশন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *