আমরা Chapter-01 এ স্পিড অপ্টিমাইজেসশনের ইন্ট্রোডাক্শন অংশ দেওয়া আছে।
এই চ্যাপ্টারে আমরা ওয়েবসাইট স্পিড অপটিমাইজেশন করার সম্পুর্ন্য প্রসেস নিয়ে আলোচনা করবো। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই যেকোনো ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করতে পারবেন। প্রতিটি স্টেপ পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ওয়েবসাইট স্পিড অপটিমাইজেশন করার সর্ট টেকনিক [website speed optimization short techniques]
একটি ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড স্লো করার সব থেকে বড় কারন হলো Huge JavaScripts, CSS, High resolution Image, Many videos, slow hosting provider, zigzag web fonts and No Optimization। স্পিড স্লো করার জন্য এই ফ্যাক্টর গুলোই সবথেকে বেশি প্রভাব রাখে এইজন্য বেশির ভাগ ওয়েবসাইট স্পিড-আপ করার জন্য এই ফ্যাক্টর গুলো অবশ্যই অপ্টিমাইজড করতে হবে।
ওয়েবসাইট এর স্পিড অপটিমাইজ করার জন্য বহুল ব্যবহৃত সবথেকে কার্যকরী কয়েকটি স্ট্রাটেজি আপনাদেরকে দেখাবো, যার মাধ্যমে যেকোনো ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বৃদ্ধি করা সম্ভব।
- একটি প্রিমিয়াম ওয়েবসাইট থিম সিলেক্ট করতে হবে [Select premium website theme]
থিম যেকোনো ওয়েবসাইটের স্পিড-আপ করারনোর জন্য অনেক বেশি ভুমিকা রাখে। এইজন্য যেকোনো ফ্রি অথবা প্রিমিয়াম থিম ব্যাবহার করার আগে থিমটি অপ্টিমাইজড আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিবেন।
ওয়েবসাইটের টপিক অনুযায়ী থিম স্ট্রাকচার গুলো ভিন্ন হয়ে থাকে- এই জন্য চেষ্টা করবেন সার্ভিস প্রোভাইড ওয়েবসাইটের থিম ব্লগ বা নিউজ ওয়েবসাইটে ব্যবহার না করতে। যে থিম যে টপিকের জন্য ডেভেলপ করা হয়েছে, চেষ্টা করবেন সেই থিম সেই টপিকের জন্য ব্যাবহার করার।
- অব্যাবহত CSS রিমুভ করতে হবে [Remove unused image]
যদিও CSS framework যেকোনো ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল। তবে সম্পূর্ন্য ওয়েবসাইট করার পরে এমন অনেক CSS file থাকে যেগুলো ব্যাবহার করা হয় না, সে CSS ফাইল গুলো রিমুভ করলে ওয়েবসাইট স্মুথ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
যেকোনো CSS ফাইল গুলোকে ম্যানুয়ালি সিলেক্ট করা উচিত তবে বর্তমানে এমন অনেক টুলস পাওয়া যা অটোমেটিক্যালি ফাইল গুলো সিলেক্ট করে এবং ফাইল গুলো রিমুভ করে দেয়। এই purgeCSS টুলসটি ব্যাবহার করতে পারেন এটি বহুল ব্যাবহত একটি CSS রিমুভার টুলস।
এই টুলস এর মাধ্যমে অব্যাবহত CSS ফাইল গুলো যেমন কমেন্ট কোড, স্পেস, ট্যাব ও অনান্য কোদ গুলো রিমুভ করা যায়।
সতর্কিকরন নোটঃ কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের টুলস গুলো Useful CSS ফাইলও রিমুভ করে দেয় সেজন্য মানুয়ালি ফাইল গুলো সিলেক্ট করতে রিকমেন্ড করবো।
এছারাও আপনি CSS minifier করতে পারেন, এর মাধ্যমে যেকোনো ওয়েবসাইটের CSS ও JavaScript ফাইল গুলোকে ৫০% পর্যন্ত Reduce করা যায়।
এই পিকচারটি লক্ষ্য করুন এখানে একটি ওয়েবসাইটের JvaScript ফাইল গুলোকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়েছে।
- ওয়েবসাইটের ইমেজ গুলো রিসাইজ করা [Resize website image]
ওয়েবসাইটে ইমেজ হলো একটি ক্রিটিক্যাল ফ্যাক্টর, সবাই চাই High Resulution ইমেজ আপলোড করতে যাতে ক্লিয়ারলি ইমেজ়টি দেখা যায়। কিন্তু আমাদের কাজ হলো Quality ঠিক রেখে সঠিক ইমেজ আপলোড করা।
ওয়েবসাইটে স্পিড অপ্টিমাইজড করার জন্য ইমেজ রিসাইজ বা ক্রপ করে নিতে হবে। এইজন্য যেকোনো ইমেজ ওয়েবসাইটে আপলোড করার আগে অবশ্যই একবার হলেও ইমেজ রিসাইজ করার করার কথা মনে করবেন যাতে খুব দ্রূত ইমেজটি ওয়েবসাইটে লোড নিতে পারে।
ইমেজ Crop and Compress করার বেস্ট টুলস হলো TINYPNG এটি ব্যবহার করে আপনি ইমেজ Quality ঠিক রেখে ৬০% থেকে ৭০% পর্যন্ত কম্প্রেস করে নিতে পারবেন। এছাড়াও যারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করে তারা ফ্রি প্লাগিন্স এর মাধ্যমেও যেকোনো ইমেজ কম্প্রেস করে নিতে পারেন।
প্লাগিন্স ইন্সটল করা থাকলে যেকোনো ইমেজ অটোম্যাটিক্যালি কম্প্রেস হয়ে যাবে, তখুন আর মানুয়ালি ইমেজ রিসাইজ করা লাগবে না। ফ্রি প্লাগিন্স এর মধ্য রয়েছে EWWW Image Optimizer, WP Smush ইত্যাদি।
- ওয়েবসাইট Gzip একটিভ করুন [Active website Gzip]
Gzip হল সবথেকে বেশি ব্যবহৃত একটি অ্যাডভান্স লেভেল স্পিড অপটিমাইজেশন স্ট্রাটেজি
Gzip এর মধ্য Apache’s mode_deflate নামে একটি মুড আছে যেটা একটিভ করলে ওয়েবসাইটের ডাটাবেজ স্মুথ হয় যার ফলে লোডিং স্পিড ফাস্ট হয়।
Gzip এর কাজ হল যেকোনো কনটেন্ট ভিজিটরের ব্রাউজারে দেখানোর আগে সেটি কমপ্রেস করে নেওয়া এতে কন্টেন্ট অনেক দ্রুত লোড নিতে পারে।
প্রশ্ন কিভাবে Gzip Mood ওপেন করবেন।
Gzip mood Enable করার জন্য ওয়েবসাইটের সি প্যানেলে লগইন করতে হবে – Software Sections এ ক্লিক করতে হবে এরপর Optimized Website নামে একটি মেনু আছে সেখানে ক্লিক করতে হবে, এরপরে ‘’Compress all Content’’ এ ক্লিক করে ‘’Update File’’ এ ক্লিক করে সেভ করুন।
Software Sections >>Optimised Website >> Compress all content >> Update File
আরো ভালোভাবে বুঝার জন্য নিচের দুইটি পিকচার খেয়াল করুন।
- বেস্ট হোস্টিং প্যাকেজ কিনতে হবে [Buying best hosting package]
ওয়েবসাইট হোস্টিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেকোনো ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য।
ভালো হোস্টিং প্যাকেজ কেনা থাকলে যেকোনো ওয়েবসাইটের স্পিড 50% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব।যদি আপনার সাইটে অনেক বেশি ভিজিটর থাকে তাহলে VPS or Cloud Hosting প্যাকেজ কিনতে পারেন, এ ধরনের প্যাকেজগুলো দিয়ে ওয়েবসাইট স্পিড অনেক বেশি বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটে যদি কম ভিজিটর থাকে তাহলে লোকাল হোস্টিং প্যাকেজ গুলো ব্যবহার করতে পারেন এটাতেও খুব বেশি সমস্যা হবে না।
- ওয়েবসাইট Caching ব্যাবহার করুন [Use website caching]
যদি একই সময়ে অনেকগুলো ভিজিটর ওয়েবসাইটে ভিজিট করে , ওয়েবসাইট Server তখন স্লো কাজ করে এবং প্রতিটা ভিজিটরকে সঠিক তথ্য দেখাতে একটু বেশি সময় নেয়। কারন এসময় ওয়েবসাইটকে ডাটাবেজ সেন্টারে বার বার রিকুয়েস্ট সেন্ড করার প্রয়োজন পড়ে।
কিন্তু এই Server Caching পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ডাটা ভিজিটরের ব্রাউজারে সেভ করা থাকবে। ভিজিটরের বাউজারে একবার ডাটা স্টোর হয়ে গেলে ডাটাবেজ সার্ভারে বার বার রিকুয়েষ্ট সেন্ড করার দরকার হবে না তখুন ওয়েবসাইট অনেক ফাস্ট লোড নিবে।
এইজন্য যেকেনো ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য Caching ব্যবহার করা একটি জনপ্রিয় ও সহজ উপায়।
উপসংহার [conclusions]
সাধারণত যেকোনো ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড তিন সেকেন্ড হয়ে থাকে, কিন্তু যদি কোন ওয়েবসাইট লোড নিতে এর থেকে বেশী সময় নেয় তাহলে সেই ওয়েবসাইটের স্পিড অপটিমাইজেশন নিয়ে আপনাকে আরেকবার ভেবে দেখতে হবে।
এই জন্য আমরা সবসময়ই রিকমেন্ড করি সিম্পল এবং কার্যকরী স্ট্র্যাটেজি গুলো গ্রহন করুন যাতে আপনার ওয়েবসাইটে বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আপনি ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করতে পারেন।